Home


বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

ইসলামি শিক্ষা

মহান আল্লাহ প্রথম আয়াত নাযিল করেন ইকরা বিইসমি রব্বি কাল্লাজি খলাক অর্থ পড় তোমার মালিকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। মহানবী (সাঃ) বলেন, তালাবুল ইলমি ফারিদাতুন আলা কুলি্ল মুসলিমন অর্থ জ্ঞানার্জন সকল মুসলিম নর-নারীর জন্যে ফরজ। ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব অনেক। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মে জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে এতোটা গুরুত্ব দেয়া হয় নি। ইসলাম শুধু একটা ধর্মের নাম না, ইসলাম একটা পুরনাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আর এই জীবন ব্যবস্থানুযায়ী জীবনকে পরিচালিক করতে হলে ইসলামিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। ইসলাম এমন এক জীবন ব্যবস্থা যাতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জীবনের এমন কোনো বিষয় নেই যা ইসলামে আলোচনা করা হয় নি। ইসলামে রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সামাজ্যবস্থা, শাসন ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, কর ব্যবস্থা, শিক্ষানীতিসহ সকল বিষয়ে আলোচিত হয়েছে। প্রতিটি বিষয়কে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইসলামে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে বৈষম্য যেন অধিক না হয় সে বিষয়ে সুদৃষ্টি দিয়েছে, আর এ জন্য যাকাত ব্যবস্থা চালু করেছে। একমাত্র ইসলামেই প্রতিটি বিষয়ের সুন্দর সমাধান দেয়া হয়েছে। আজ আমরা মুসলিমরা ইসলামকে ভুলতে বসেছি। ইসলামের জ্ঞান অর্জন থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। আজ আমরা মুসলিমরা ইসলামি শিক্ষাকে অনুন্নত শিক্ষা মনে করি। আমরা নিজেরাও ইসলামি শিক্ষা অর্জন করছি না আর আমাদের সন্তানদেরও তা থেকে বিরত রাখছি। অথচ ইসলামি শিক্ষা অর্জন করা ফরজ। যেমন যার নামায ফরজ হয়েছে তার জন্য নামাযের সকল মাসলা-মাসায়েল জানাটা ফরজ। যার যাকাত ফরজ হয়েছে তার জন্য যাকাতের যাবতীয় মাসলা-মাসায়েল জানাটা ফরজ। ইসলামের সকল হালাল হারাম বিষয়ে জ্ঞান থাকা ফরজ। কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় যে আমরা আজ এতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে আগ্রহী নই। যা আমাদের জন্য ফরজ। অথচ আমরা আমাদের কত সময় বাজে কাজে নষ্ট করি, কাল্পনিক গালগল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমা, খেলাধুলা দেখে সময় পার করি। কিন্তু আমরা সময় পাইনা বই পড়ার। আজকাল আমরা বই পড়তেই ভুলে গিয়েছি আর ইসলামি বই! ইসলামের কথা শুনলেইত আমরা নাক ছিটকাতে শুরু করি। আমরা যখন ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত কোনো লোক দেখি তখন ভেবে নেই যে এই লোক কিছু জানে না। আর দু’কলম ইংরেজি বলতে পারলে তাকে আমরা অনেক বড় জ্ঞানী মনে করি। তার জ্ঞানের পরিধি যাচাই করতে যাই না। আর আমাদের দেশে যারা ইসলামকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন সভা সেমিনারে বক্তিতা করেন, ইসলাম বিরধী প্রবন্ধ লিখেন, বইয়ের পাতা ইসলামের মিথ্যা সমালোচনায় ভরিয়ে তোলেন তাদেরকে আমরা বুদ্ধিজীবি উপাধি দেই। আর এসব বুদ্ধিজীবিদের পরামর্শে আমরা দেশকে পরিচালিত করি। তাদের কথানুযায়ী আইন বাস্তবায়ন করি। আমরা ভুলে যাই মহান আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ এর কথা। আমরা ভুলে যাই মহান আল্লাহর বিধানের কথা। আমরা ভুলে যাই আমাদের রাসুলের কথা। আমরা ভুলে যাই রাসুলের আদর্শ বাস্তবায়নের কথা। আমরা মরিয়া হয়ে উঠি তাগুতের আইন বাস্তবায়নের জন্য। আমরা তথা কথিত বুদ্ধিজীবিদের দ্বারা দেশকে পরিচালিত হতে দিচ্ছি। যাদের অধিকাংশের নেই কোনো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আবার তাদের অনেকে বিভিন্ন দেশের দালাল। আমরা এমনসব লোকদের দ্বারা আমাদের দেশকে পরিচালিত হতে দিচ্ছি যারা দুরনীতিগ্রস্থ, যারা চোর, যারা এই দেশের সম্পদ লুট করছে, যারা দেশের মধ্যে অশ্লিলতা ছড়িয়ে দিচ্ছে, যারা এই দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করছে তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। তাদেরকেই আমরা এই দেশের ক্ষমতায় বার বার বসাচ্ছি। আর এসব হচ্ছে আমাদের মাঝে ইসলামের জ্ঞান না থাকার কারণে। আমরা সামান্য টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য দেশ জাতি ও সমাজের বৃহত্তম ক্ষতি করছি। আজ আর এমন নেতৃত্ব পাওয়া যাচ্ছে না যারা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কি করে এই নেতৃত্ব গড়ে উঠবে? সেই পথ যে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। একমাত্র ইসলামি শিক্ষাই পারে সেই নেতৃত্বকে গড়ে তুলতে।

ইসলামি শিক্ষাই পারে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে। আমরা আমাদের সন্তানদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠি কিন্তু ভালো মানুষ বানানোর জন্য চেষ্টা করি না। তাদের একজন ভালো নেতা হিসাবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করি না। যাতে তারা দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। আমরা আমাদের সন্তানদের দেশ ও জাতির নিকট দায়ব্ধ হতে শেখাই না। আমরা শেখাই সেই বিদ্যা যে কি করে কাড়ি কাড়ি টাকা কামানো যাবে। আজ আমরা শিক্ষা অর্জন করছি মানুষকে সেবা দেবার জন্য নয়, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবার জন্য নয়। আমরা শিক্ষা অর্জন করছি মানুষের পকেট কাটার জন্য, দেশের সম্পদ লুন্ঠন করার জন্য। যত বড় শিক্ষিত হতে পারব তত বেশী দুর্নীতি করে টাকা কামাতে পারব। আমরা অধিকাংশই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছি। দেশের কথা ভাবছি না দেশের মানুষের কথা ভাবছি না। কিন্তু আজ যদি আমরা সত্যিকারের ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হতাম আমাদের সন্তানদের ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করতাম, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতাম তা হলে আজ আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত। আমরা পেতাম সৎ যোগ্য নেতৃত্ব। যাদের নেতৃত্বে আমাদের এই দেশ ক্ষুধা, দারিদ্র ও দুর্নীতি মুক্ত একটি ন্যায় ও সাম্যের দেশ হিসাবে গড়ে উঠত।

আজ আমাদের দরকার এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যা ইসলামি শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয়ে গঠিত। আমরা যদি আমাদের সন্তানদেরকে শুধু আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করি তবে তাদের আমরা সত্যিকারের মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারব না। না তারা নিজেদের চিরস্থায়ী কল্যাণ করতে পারবে না দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারবে। একমাত্র আধুনিক ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থাই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের সৎ, যোগ্য ও দেশ প্রেমিক ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে চাই তবে আমাদের সন্তানদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামি শিক্ষা প্রদান করতে হবে।

——————————————————————————————————————————————

A Muslim Woman Can Propose To A Muslim Man

A Muslim woman is allowed to approach a man with a marriage proposal, if she comes to know of a man who has good character, Deen and would be a good husband, she can approach him in an honorable way with a marriage proposal. This may be seen as improper or brazen in some cultures. But that is a cultural attitude, not an Islamic one.

We live in a society where we are of the mindset that it’s the man who should always make the proposal for marriage. Our society set rule that it’s the man who has to propose and make women feel guilty or ashamed as if they would be doing something so wrong and unacceptable by asking for a man’s hand in marriage. So many women wait and wait on the man to propose, and sometimes months and even years go by, and if a man doesn’t propose, the woman herself become a question mark.

In some cases when a daughter dare to suggest a suitable man to her parents which considered a crime, and also considered rude and offensive and automatically deemed to mean that she is involved in an illicit relationship with him. All these culturally-driven notions and customs are against to the teachings of Islam.

There is nothing in Quran or Sunnah that would suggest that it is prohibited for a woman to initiate a marriage proposal.
According to Islam , there is no problem for a Muslim woman to propose to a Muslim man. Islam gives a Muslim woman the right and honour to make such a proposal without feeling guilty or ashamed.

Our best role model is the Prophet Muhammad (Peace Be Upon Him) and in this veiw we can find a most beautiful example.
When a proposal sent from Ummul-Mumineen Hazrat Khadija-tul-Kubra (Razi Allah Anha) to Prophet Muhammad (Peace Be Upon Him), through her friend “Nafisah”.
Nafisah delivered the proposal to our Holy Prophet (Peace Be Upon Him). And He accepted this proposal.
Obviously Allah would never have permitted him to accept a proposal from a woman if doing so was in any way shameful or improper.

There is absolutely no prohibition in Islam for a woman to propose marriage to a man. It is perfectly fine for you to approach the man in a most honorable way and let him know your intentions by hinting or being flat out about it, depending upon the noble custom in your society. It should be done through the proper and reasonable channels and without violating any rules of Shari’ah.

A woman could do this would be to ask her parents to approach his parents; or to send a message through someone who knows him (for example his sister, aunt, cousin, etc) that she is interested, in order to learn if he also might be interested. She can also approach him directly and raise the subject, as long as she follows Islamic rules of etiquette (meeting in public, having a chaperone, no flirtatious or sexual speech, lowering the gaze, etc).
It doesn’t matter who propose, as long as its done in a good moral way within Islamic morality.

And it is also perfectly acceptable for a woman’s family to propose marriage. Unfortunately, however, there remains a stigma within certain Muslim cultures against a woman’s family proposing or initiating marriage talks.

Sayyiduna Umar ibn al-Khattab (Allah be pleased with him) offered his daughter, Hafsa (Allah Be Pleased With Her), not only to one but two individuals: Sayyiduna Usman (Allah be pleased with him) and Sayiduna Abu Bakr al-Siddiq (Allah be pleased with them), latter-on the Holy Prophet Muhammad (Peace Be Upon Him) himself asked for the hand of Hadrat Hafsa (Allah Be Pleased With Her) from Hadrat Umar ibn al-Khattab (Allah Be Pleased With Him) .
Similarly, when the Prophet of Allah, Sayiduna Shu’ayb (Peace Be Upon Him) observed the beautiful character of Sayiduna Musa [Moses](Peace Be Upon Him) and his praiseworthy attributes such as trustworthiness, he proposed marriage to him for one of his daughters.
So it is also proved, there is nothing wrong with a woman’s guardian (wali) proposing marriage on her behalf to a righteous and suitable man.

We need to remind ourselves that it was Khadija-tul-Kubra (Razi Allah Anha) [the Prophet’s first wife] who asked for the Prophet’s hand in marriage; and it was then and still is now an honorable thing to do. So sisters, it is within your right to make the first move. If there is a good brother out there that you like as a husband, then don’t be ashamed or afraid to ask for the brother’s hand in marriage. If you are too shy or afraid to ask, then let a family member, your parents or even a good friend ask on your behalf. Then Allah will put baraka in it.
And remember, our religion Islam is the religion of easiness & peace, do not create confused methods and do not set complex-ed & baseless rules in your life and as well in society, try to investigate and think about the problem and it’s solution according to Islam and find and follow the straight path in the light of Islamic teachings, ancestors can not save us but the light of Islam brighten our life here in this world and also life hereafter.

And Allah knows the best.

***Collected***

——————————————————————————————————————————————

আধুনিকতায় হিজাব ও ইসলাম

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি নিখিল বিশ্বের স্রষ্টা ও পালনকর্তা, দরুদ ও সালাম বিশ্বনবী, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তার ছাহাবীগণের উপর। হিজাব তথা পর্দা ইসলামের একটি মহা গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক
অবদান, যা শুধু মাত্র ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে নয়, বরং বিশ্ব মানব জাতীয় সত্ত্বার রক্ষকও বটে। তাইতো বিশ্ব স্রষ্টা নির্দেশ দিচ্ছেন তোমরা পর্দা কর উন্মুক্ত দেহ নিয়ে কিংবা বুকের ওড়না হাতে নিয়ে পর পুরুষের সামনে বের হবে না। অর্থাৎ (ইমানদার নারীদেরকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করে, তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে (আল-কোরআন)। ইহা অবধারিত যে, নারীদের জন্য হিজাব বা পর্দা প্রথা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অন্য কোন ধর্মে নারী জাতীর অধিকার ইজ্জত-আবরু রক্ষায় তেমন কোন সুবিধিবদ্ধ বিধি বিধান নেই। কিন্তু ইসলাম নারীদের অধিকার, ইজ্জত আররু রক্ষার জন্য সুনির্দিষ্ট বিধি বিধান জারি করেছেন, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত গোটা বিশ্ব নারী জাতির জন্য মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

পর্দা প্রথার কারণ: পর্দার আরবি শব্দ হিজাব, যার আভিধানিক এবং পারিভাষিক অর্থ হলো নারীকে পর পুরুষের সাথে অবাধ মেলা মেশার হাত থেকে রক্ষা করা। পর্দা কোন গতানুগতিক তথাকথিত সামাজিক প্রথা নয়। ইসলাম অন্ধ কামশক্তির স্বেচ্ছাসারিতা রোধ কল্পে এবং উহাকে উহার যথাযথ সীমা রেখার মধ্যে নিয়ন্ত্রিত রাখার যে সুন্দর দিক নির্দেশনা পেশ করেছেন তারই সুসংক্ষিপ্ত নামই পর্দা। বস্তুত যৌন আবেদনের প্রভাব, উৎকট কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থের অদম্য স্পৃহা, নর-নারীর দৈহিক গঠন বিন্যাস, মানসিক ও চারিত্রিক প্রার্থক্য জনিত স্বাভাবিক আকর্ষণের উপর ভিত্তি করেই ইসলাম পর্দা প্রথার নির্দেশ দেয়। ইহা অস্বীকার্য যে, জীব মাত্রই কামজ। এই কামজকে এড়াইয়া কোন মানব পৃথিবীতে জন্ম নিতে পারে না। কামভাবই মানুষকে বর্তমান পৃথিবীর স্বর্ণ শিখরে পৌচাতে সহায়তা করছে। আবার ঐ কামভাবই অপব্যবহারের কারণে মানুষকে পশুত্বের নিু শিখরে নিমর্জিত করেছে। সুতারাং মানবতার খাতিরে একে এর সীমার মধ্যে রাখা আমাদের একান্ত কর্তব্য। পর্দা প্রথা তারই সুফল রূপ রেখা মাত্র। পর্দা প্রথাই নারী পুরুষের অবাধ মেলা মেশাকে অবৈধ ঘোষণা করে। নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার ফলে পারস্পরিক যৌন আকর্ষণ তাদের দেহ মনে এক অপ্রতিদন্ধি আলোড়ন সৃষ্টি করে। যা পরবর্তীতে ব্যবিচার তথা যিনার প্রতি ধাবিত করে। যার কুফল মানবতার জন্য মারাত্বক। এ সম্পর্কে জার্মান দার্শনিক নীট. শে বলেছেন, ‘‘নারীকে পুরুষের সাথে মেলা মেশার অবাধ সুযোগ দিলে নারীদের প্রযনন শক্তি শীঘ্রই নিস্তেজ হয়ে যাবে। ফলে এমন একদিন আসবে যেই দিন পৃথিবী হতে মানব বংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নারী পুরুষের অবৈধ যৌন মিলনে যে, যিনা হয় তা’ নয় বরং কামভাব ও উত্তেজনার সাথে নর-নারী পরস্পর একে অন্যকে স্পর্শ করলে, কিংবা কুমতলবের সাথে একে অন্যের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে ইসলাম অতি সর্তকতার সাথে একে যেনার সাথে তুলনা করেছেন। কেননা এগুলো অবৈধ কাজের উদ্ভাবক। এছাড়া মনো বিজ্ঞানের দৃষ্টি ভঙ্গিকে বলা হয় সাধারণ অবৈধ নারী দর্শনে এবং স্পর্শে অচেতন মনের উপর যে অদশ্য কুচিন্তা ও কুভাবনার চাপ পড়ে, পরিনামে তাহা মারাত্মক ব্যধিতে রূপান্তর হয়। এ সকল কু-ধারণা মানব দেহের সুক্ষ কোষগুলিকে বিকৃত ও বিষাক্ত করিয়া নানা প্রকার শারীরিক ও মানসিক ব্যাধির সৃষ্টি করে, মেধা শক্তি লোপ করে। আমেরিকার অন্যতম মানসিক রোগের চিকিৎসক ডঃ এড ওয়ার্ড বগলার বলেন, ‘‘প্রত্যেক মানুষের মনের আড়ালে একটি আত্ম ধ্বংসকারী উপাদান অতি সংগোপনে অবস্থান করছে, ইহার অস্তিত্ব সম্পর্কে মানুষ সচেতন নয়। অনেক সময় ইহার প্রভাবে মানুষ অজানা কারণে মানবিক অসস্তি ও অহেতুক নানা প্রকার শারিরীক ও মানসিক ব্যাধিতে ভুগিয়া থাকেন। এবং এই মারাত্বক উপাদানই øায়ুবিক বিকৃতি ও দুর্বলতার মূল কারণ। কুচিন্তা ও কুভাবনা এই উপাদানকে আরো শক্তিশালী করিয়া তোলে। এক মাত্র কুচিন্তা ও কুভাবনা পরিহারই এই ক্রিয়াকে নিষক্রিয় ও দমন করতে পারে। বলা বাহুল্য যে, এই কুচিন্তা ও কুভাবনার আত্মঘাতী বিষ ক্রিয়া হতে মানুষকে রক্ষা করার জন্য নারী জাতিকে পর্দার আড়ালে অবস্থানের জন্য ইসলাম কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়। পবিত্র কোরআনের ভাষায় অর্থাৎ “হে নারীগণ! তোমরা তোমাদের স্ব স্ব ঘরের মধ্যে অবস্থান কর। প্রাথমিক বর্বর যুগের নারীরা যেমন সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য সুসজ্জিত হইয়া যথেচ্ছা বিচরণ করিত তোমরা তেমনি হইওনা” (আল- কোরআন)।

বেপর্দার কারণ: জন জীবনে নারী পুরুষের স্বাভাবিক প্রার্থক্যতার অস্বীকৃতি, পর্দা প্রথার জাতীয় উপকারীতা ও বেপর্দার অপকারীতা সমন্ধে সঠিক জ্ঞানের অভাব, ‘‘পর্দা প্রথা জাতীয় উন্নতির অন্তরায়” এরূপ অমুলক ভ্রান্ত ধারণা নারীকে পুরুষের একমাত্র ভোগের সামগ্রী মনে করা, নারীদের আত্মসচেতনাতার অভাব। পুরুষদের দায়ুসী তথা লাম্পট্য প্রবণ মনোভাব এবং পর পুরুষের সঙ্গে নিজেদের স্ত্রীদের অবাধ আলাপ আলোচনা করাকে পছন্দ করা। ইসলামী বিধির প্রতি উদাসীন মনোভাব এবং বিজাতীয় নগ্নতা ও অপসংস্কৃতি, বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিত, অশালীন টিভি সিনামায় প্রদর্শিত ছবি থেকে বেপর্দার সৃষ্টি, শুধু তাই, নয় ভারত ও ইংরেজদের অশালীন নগ্ন সিনামা, সর্বজন গৃহীত শব্দ আধুনিকতা? আজকে আধুনিকতার দোহায় দিয়ে নারীরা পুরুষের পোষাক ব্যবহার করছে, অথচ এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সঃ) দ্বার্থহীন ভাষায়, তাদেরকে অভিশপ্ত করেছেন। আধুনিকতার নাম দিয়ে আজকে নারীরা পর্দা প্রথাকে বাদ দিচ্ছে। আধুনিকতার সংস্পর্শে এসে তারা বলে পর্দা? পর্দা প্রথা অনেক পুরানো। বর্তমান যুগে পর্দার প্রথার কোন প্রয়োজন নেই। যারা পর্দা করে তারা আধুনিকতার স্পর্শ থেকে বঞ্চিত। অথচ, সে আধুনিকতাই আজকে নারী জাতিকে সবচেয়ে সর্বনিকৃষ্ট পণ্যে পরিণত করছে। যার সামান্য দৃষ্টান্ত আমরা পাবো, আধুনিকতা নারী সমাজকে কী দিল অংশে।

বেপর্দার কুফল: বিজ্ঞানের দৃষ্টি ভঙ্গিতে বলা হয় নারী দেহ অশ্লীয় ও চুম্বক ধর্মী এবং পুরুষের দেহ ক্ষারীয় ও বিদ্যুৎ ধর্মী। সাধারণত অম্লের সহিত ক্ষারের একটি স্বাভাবিক আকর্ষণ বা টান আছে। বিজ্ঞানের ভাষায় ইহাকে এফিনিটি বলা হয়। এই আকর্ষণ এত তীব্র ও কার্যকর যে ইহা রোধ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই কেউ অপরকে অম্ল বা টক খেতে দেখলে অনায়াসে অজ্ঞাত কারণে মুখ থেকে ক্ষার ধর্মীয় লালা বের হয়ে আসে। সুতারাং ইহা ধ্রুব সত্য যে ক্ষার ধর্মী দেহ ও অম্ল ধর্মী দেহের মধ্যে চুম্বকের মতো দুদর্মনীয় একটি প্রাকৃতিক আকর্ষণ আছে। ক্ষারের একট সাধারণ স্বভাব বা গুন আছে, ইহা অম্লের সংস্পর্শে আসলে অম্লের কার্যকরী গুন নষ্ট করে দেয়। যাকে রসায়ন শাস্ত্রের পরিভাষায় নিউটিলাইজেশন বা নিরপেক্ষী করণ বলা হয়। তাই অনাবৃত অম্ল ও চুম্বকধর্মী নারী দেহের উপর ক্ষার ও বিদ্যুৎ ধর্মী পুরুষের দেহের প্রতিফলন ক্রিয়া ঘন ঘন প্রতিফলিত হতে থাকলে নারী দেহের চুম্বকত্ব ও অম্লত্ব নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অজ্ঞাত সারে নারীত্বের গুনাবলী লোপ পেতে থাকে। নানা জাতীয় পুরুষ দেহের ঘন ঘন প্রতিপলন নারী দেহের সুক্ষ কোষ গুলির উপর যে সংঘাত নিক্ষেপ করে, তাহা শরীরের প্রত্যেকটি কোষ এমনকী ডিম্ব কোষকে পর্যন্ত সুক্ষ আনবিক ক্রিয়া দ্বারা বিধস্ত করে ফেলে। ফলে নারী দেহের অম্লত্ব ও চুম্বকত্ব নষ্ট হয়ে নারী তার গন্ধ, কোমলতা, ও রূপ লাবন্যতা হারিয়ে ফেলে। আজকের ইউরোপ তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তাইতো, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পর্দাশীল নারীদেরকে পর পুরুষতো দূরের কথা বেপর্দাশীল নারীর নিকট ও মিষতে নিষেধ করেছেন। আমরা পরিসংখ্যান করলে দেখতে পাই অথবা নারী জাতির দিকে তাকালে দেখতে পাই এই পর্যন্ত যত নারী এসিড নিক্ষেপে জ্বলসে তাদের সবই বেপর্দা, পর্দা করে কিংবা বোরখা পরে এমন নারীকে এসিড মেরেছে এমন নজীর খুঁজে পাওয়া ও দুষ্কর। যত নারী আত্ম হত্যা করেছে কিংবা বখাটে ছেলেদের জ্বালায় নির্যাতিত হয়েছে। তার সবই বেপর্দা । ইভটিজিং তথা বখাটেপনা আজকে বেপর্দারই ফসল। আজকের ইউরোপ আমেরিকায় প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত এবং ৪৩% এর বেশী মানুষ জারজ এসবই বেপর্দার ফসল। পর্দা প্রথা বলে নারী জাতিকে তার সৌন্দর্য ঢেকে রাখতে যা সাধারণত বিপরীত লিঙ্গকে বেশী আকৃষ্ট করে’, পর্দা করলে নারীর সম্মান বাড়বে, পর্দা প্রথা অর্থাৎ হিজাব যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত থাকতো এটা দ্বার্থহীন ভাষায় বলা যায়, যারা আজকে বখাটেপনার স্বীকার হচ্ছে তারা মুক্তি পেত। পর্দা না করার কারণে মেয়েদের ব্যহিক সৌন্দর্য, বখাটেদের বেশী মাত্রায় আকৃষ্ট করে। আমরা পরিসংখ্যাণ করলে দেখী আজ পর্যন্ত বখাটেপনার শিকার হয়ে যত নারী আত্মহত্যা কিংবা অকাল মৃত্যুতে পতিত হয়েছে তার অধিকাংশই পর্দাকে উপেক্ষা করছে। তারপর ও কী আমরা পৃথিবীর সভ্য জাতি হিসাবে পর্দা প্রথাকে প্রতিষ্ঠিত করে এমন সব অত্যাচার নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে চাই না? আমার প্রশ্ন আপনারা কী আধুনিকতার শির্ষে আমেরিকার মত বাংলাদেশ চান? যেখানে প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হচ্ছে। যেখানে নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশায় ৪৩% এর বেশী মানুষ জারজ হচ্ছে।

পর্দা উপেক্ষিত আধুনিকতা নারী সমাজকে কী দিল: নারী জাতীর শোচনীয়তা কেবলমাত্র আইয়ামে জাহেলিয়াতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং জাহেলিয়াত্বের পর নারী আজ আবার ইসলামের আদর্শকে বাদ দিয়ে সর্বগ্রাসী আনন্দ উল্লাসের এক আশ্চার্য ব¯ু‘ বা উপভোগের এক অভুতপূর্ব যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে। আজকের বিশ্ব তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আধুনিকতার শির্ষে আমেরিকার কথা যারা বলে আমেরিকা নারী স্বাধীনতার দেশ। অথচ সেখানেই প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হয়। তারা বলে আমেরিকা সভ্যতার দেশ অথচ সেখানে প্রায় ৪৩% এর বেশী মানুষ জারজ সন্তান। তারা বলে আমেরিকা সোনার হরিনের দেশ অথচ সেখানেই সবচেয়ে বেশী মানুষ আত্মহত্যা করে। জাতির কাছে প্রশ্ন এটাই কী আধুনিকতা? এই প্রেক্ষাপটে আমেরিকার এককালের খ্যাতিমান TV বিশ্লেষক জিমি সোয়াগাট আর্ত্মনাদ করে বলেছেন’ আমেরিকা বিধাতা অবশ্যই তোমার বিচার করবেন। আর তিনি যদি তোমার বিচার না করেন তাহলে নৈতিক অপরাধ এবং লালসা চরিতার্থ করার অপরাধ সডোম ও ঘোমরার জনপদের (আদ, সামুদ, আর লুত স¤প্রদায়) অধিবাসিদের কেন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল সেজন্য স্বয়ং বিধাতাকেই একদিন ক্ষমা চাইতে হবে। বর্তমান ইউরোপ মেয়েদের কোন আত্মা আছে কিনা সন্দিহান, এমনকী তারা নারীদের শাস্তি দানের জন্য ইংল্যান্ডে এক পালার্মেন্ট গঠন করে। নারীর চেয়ে দুনিয়ার আর কোন নিকৃষ্ট বস্তুু নেই, এই ছিল খ্যাতমান দার্শনিক সক্রেটিসসের বক্তব্য। গ্রীক দার্শনিকদের মতে সাপে দংশন করলে কিংবা আগুনে পুড়ালে চিকিৎসা সম্ভব, কিন্তু নারীর অনিষ্টের চিকিৎসা সম্ভব নয়। ভারতের সতীদাহ প্রথা আজ ও মানুষকে কাঁপিয়ে তোলে। আমরা লজ্জিত যে আধুনিক বাংলার নারী সমাজ নিজেকে স্ত্রী অথবা পরিবার শব্দের মাধ্যমে পরিচয় দিতে কুন্ঠিত হয়ে ইংরেজী শব্দ (WIFE) ব্যবহার করে পরিচয় দিতে তৃপ্তি পান। অথচ এর বিশ্লেষণ উগ্র পন্থিরা এই ভাবে করে থাকেন। W= wonderful, I= instrument F= for, E= Enjoyment অর্থাৎ আনন্দ উল্লাসের এক আশ্চার্য বস্তু বা উপভোগের এক অভূতপূর্ব যন্ত্র বিশেষ। ইতালিতে প্রতি তিন ঘন্টায় একজন নারী তার সতীত্ব হারায়। যার প্রতিবাদে প্রথম দিনই দুহাজার নারী রাস্তায় নামে। ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জন স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত এক রিপোটে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রে পনের বছরের কম বয়সের মেয়েদের প্রতি হাজারে ছয়শত আশি জন মেয়ে জারজ সন্তানের মা হচ্ছে। আমেরিকায় পাঁচ লাখের ও বেশী মেয়ে শুধু (চৎড়ংঃরঃঁঃব) হিসাবে জীবন কাটায়। এরা পনের ষোল বছরে উক্ত সেন্টারে আসে ত্রিশ পয়ত্রিশ বছর বয়সে ঐ স্থান ত্যাগ করে বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে বাকী জীবন কাটায়। দার্শনিক নিটশের ভাষায় নারীকে এভাবে নগ্ন দেহ নিয়ে চলতে দিলে নারী এক সময় তার প্রজনন শক্তি হারিয়ে ফেলবে। তাইতো ইউরোপীয় প্রি-সেক্স এর দেশ সমূহে নারীদের প্রজনন ক্ষমতা কম। দু-একটি সন্তানের পর স্বভাবত তারা সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অতএব হে নারী সমাজ প্রগতির উপহার স্বরূপ নারী পর্দা প্রথাকে বাদ দেওয়ায় উপরক্ত ফসলটুকু কী তোমাদের সচেতনতার জন্য যথেষ্ট নয়?

পর্দা প্রতিষ্ঠায় পুরুষের ভূমিকা: নারীর দৈহিক গঠনাকৃতি, বুদ্ধি ও চরিত্রগত প্রার্থক্য সমন্ধে পুরুষের সঠিক জ্ঞানের অভাব। যদি পুরুষেরা নারীদের বেপর্দার কারণে তাদের মানসিক ও আত্মঘাতি ব্যাধির কথা উপলদ্ধি করতে পারতো তাহলে পুরুষরাই নারীদের বেপর্দার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতো, নারীদের বাধ্য করতো পর্দার জন্য। এ সম্পর্কে কবি ড. আল্লামা ইকবাল বলেছেন, কি বুঝবে যার রগে ঠান্ডা রক্ত প্রবাহিত? অর্থাৎ যার অনুভূতি নেই। যেখানে পর্দা নেই সেখানে প্রকৃত শিক্ষাও নেই, নতুন কি পুরাতন, নারীর মর্যাদার ও সংরক্ষক একমাত্র পুরুষই হতে পারে, যে জাতি এ বাস্তব সত্য না বুঝতে পারে তার সৌভাগ্যের সূর্য অবশ্যই অস্তমিত হবে। নারীদের যেখানে কোন সম্মান ছিল না, তারা ছিল বঞ্চিত লাঞ্চিত, অবহেলিত তাদের স্বামী, মা ও বাবার সম্পত্তিতে কোন অধিকার ছিলনা অথচ ইসলামই তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্টিত করেছিল। ইসলাম নারীদেরকে যে অর্থনেতিক অধিকার দিয়েছে তা বাস্তব সত্য। ১৯৭০ সালে প্রথম ইংল্যান্ডে বিবাহিত মহিলাকে কারো সাথে পরামর্শ ব্যাতিরেখে সম্পদ অর্জন ও বন্টন করার অধিকার দিয়েছে। অথচ সে অধিকার ইসলাম নারীদেরকে ১৩০০ বছর পূর্বে দান করেছে। সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ, নবী বিশ্ব নবী মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নারীদের অধিকার ও মর্যদা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘তামাম পৃথিবীর সমস্ত জিনিস হল সম্পদ, আর পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হল নেককারী নারী” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেন যে, ‘‘যে নারী ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসে রোজা রাখে স্বামীর আনুগত্য করবে, সতীত্বের হেফাজত করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর জান্নাতের যে রাস্তা দিয়ে খুশি সে ঐ রাস্তা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” সুতারাং আমরা, নিসন্দেহে বলতে পারি ইসলামই নারীকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। আজকের বেপর্দাহীন আধুনিকতা নয়। আমরা আজকে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় একথা বলতে পারি যে পর্দাকে মেনে চলার মাধ্যমে আমরা রক্ষা পেতে পারি এসিড সন্ত্রাস ও বখাটেপনার হাত থেকে। পর্দা উপেক্ষিত আধুনিকতা নারী সমাজকে যা দিল তা থেকে বের হয়ে আসার কিংবা পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো পর্দা। বিশ্বস্রষ্টা, মহান রাব্বুল আলামিন এ সম্পর্কে বলেন, ‘‘ প্রত্যেকটি বয়সপ্রাপ্ত মেয়েদের এমন একটি চাদর পরা উচিত যে চাদরটা পরলে তার মাথা তার গলা তার বুকটা ডেকে যাবে ” (সূরা নূর)

পোস্টটি [Manob Jibon ۞ মানব জীবন]পেজ থেকে নেয়া।

———————————————————————————————————————————————

 

Hijab Covers the Face

Aisha (radi Allahu anha) said: “I accompanied the Prophet (sal Allahu alaihi wa sallam) to the battle of Ifk after the revelation of the Ayaat of Hijab…. I arrived back at the army camp after he had left with my camel. There was no one left to call or answer. Everyone had left with the army. I covered myself with my shawl and lay down. A little while later, Safwan bin Mu’attal passed by me. He was left behind due to some personal reason and had not spent the night with the rest. When he saw me, he came near and recognized me as he had seen me before the revelation of the Ayaat of Hijab. He recited loudly, ‘Inna Lillahi Wa Inna Ilaihi Rajioon.’ His voice woke me up and I covered my face immediately with my shawl.” [Muslim, Book of Taubah]

This Hadith proves in many ways that the Wives of the Prophet (sal Allahu alaihi wa sallam) used to observe Hijab and that this included covering the face.

First, the reason that Aisha (radi Allahu anha) was left behind in the jungle when the army left, was clearly the fact that their Hijab was not limited to an overcoat/Burqa or wrapping a shawl around themselves. Instead, they used to travel in a Haudaj (palanquin) mounted on a camel’s back. A Haudaj was a little covered room which was mounted on the back of a camel that women would travel in and it served as an enclosure for them.

In this incident, when the army was ready to march, the servants carried the Haudaj and mounted it on the camel thinking that Aisha (radi Allahu anha) was in it. She had left the Haudaj in the dark to answer the call of nature and was not back but since she had a very slim built in those days her absence from the Haudaj went unnoticed as her presence didn’t add much weight to it normally.

Second, the servants could not look inside the Haudaj to ensure that she was there because it was no longer permissible to do so after the revelation of the Ayaat of Hijab. Thus, the army left and she was left alone in the jungle.

Third, the statement of Aisha (radi Allahu anha) that Safwan bin Mo’attal (radi Allahu anhu) recognized her because he had seen her before the commandments of Hijab, also points to the fact that it was no longer possible for anyone to see the Wives of the Prophet (sal Allahu alaihi wa sallam) after these commands were revealed.

Fourth, Aisha (radi Allahu anhu) stated that as soon as she was awoken by his voice, she covered her face with her shawl which clearly proves that it was necessary to cover her face as part of Hijab. This also proves that if someone has seen you prior to your starting Hijab it doesn’t make it permissible for them to continue seeing you without Hijab “because they already know what you look like”.

“Inna Lillahi Wa Inna Ilaihi Rajioon” is an Ayat of the Quran. It means, “We belong to Allah and to Him shall we return.” This Ayat is recited on facing any distressful event. Remembering Allah’s grandeur and our association with Him lightens the impact of worldly distress.

Now we know that Hijab means to cover the entire body and the face and for men and women to stay out of each other’s sight as much as possible.

2 Comments

2 thoughts on “Home

Leave a comment